অনিয়মের অভিযোগে বশেমুরবিপ্রবিতে দুদকের অভিযান
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মকর্তা ও শিক্ষকগণ কর্তৃক চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল ক্রয়, ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুত, কেনাকাটায় টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানের তদারকিতে এবং সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় ও সোহরাব হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে দুদক টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা।
অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সময়ে আসবাবপত্র ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের উঠে আসে। সরেজমিনে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত বেঞ্চ ও নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে তা খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা, দুটি পানি শোধনাগারের যন্ত্রপাতি ও পাইপ, নিম্নমানের মালামাল সরবরাহসহ লাখ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি করে ফেলে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শারমিন চৌধুরীকে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের শর্ত বয়স ৩২ এর ওপর ভঙ্গ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩২ বছরের স্থলে নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে ৩৩ বছর ৩ মাস বয়সে নিয়োগ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট নির্মাণ কাজ ৭-৮ বছর আগে শুরু হলেও অদ্যাবধি শেষ না করে আর্থিক অনিয়ম করা, লাইব্রেরিতে ক্রয়কৃত বিদেশি বইসমূহ মূল বই নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পায় দুদক টিম।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক তুহিন মাহমুদের মালামাল কেনাকাটায় অনিয়মসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ ও বিগত বছরগুলোতে নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেন। এছাড়াও তিন কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখে দুদক টিম।
গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের ফাইলগুলো প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং মামলা দায়েরের সুপারিশসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।