গাজীপুর সিটি তামাকমুক্তকরণে মতবিনিময় সভা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে তামাকমুক্তকরণ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা দে।
ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়োর (ডর্প) এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যৌথ আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডর্পের উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আজহার আলী।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডর্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম।
এ সময় বক্তব্য দেন সিটিএফকে প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া।
প্রধান অতিথি নমিতা দে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আমরা তামাকজাতপণ্য নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এখন থেকে আরও জোরেসোরে তামাকমুক্ত সিটি করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তামাকের বিজ্ঞাপন এখন অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তামাকের ব্যবহার বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জনের চেয়েও বেশি মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে মারা যায়। তামাকের ধোঁয়ায় সাত শতাধিক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তামাক সেবনের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ (অ্যাজমা, বা হাঁপানি), ডায়াবেটিস, পায়ের পচন রোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। তামাক সেবনে হাঁড়ের ঘনত্ব কমায়, দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হয়। তামাক সেবনকারীদের মুখের ক্যান্সারের ঝুকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে পাবলিক প্লেসে এবং পাবলিক পরিবহণে (রেস্টুরেন্টে ৪৯.৭%, পাবলিক পরিবহণে ৪০%, কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭% এবং বাসাবাড়িতে ৩৯%) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ ধূমপানের পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতিকর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারনোসহ তামাক ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একই সময়ে তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। তামাক চাষ ৩০% বন ধ্বংসের জন্য দায়ী। এ ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তামাক হুমকি সরূপ।