নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে সহযোগিতায় ইউএনডিপির মূল্যায়ন শুরু
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন, তার মূল্যায়ন শুরু করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। নির্বাচন কমিশন এবং সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা এই মূল্যায়ন সম্পন্ন করবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গোয়েন লুইস বলেন, ‘জাতিসংঘ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন জাতিসংঘকে চিঠি দিয়ে সহায়তা চেয়েছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করা দরকার।’
এ লক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ (মঙ্গলবার) নিউইয়র্ক থেকে আসা ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাছির উদ্দীন এবং পরে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জাতিসংঘ কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে পারে—সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু সুপারিশ করবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও অপতথ্য মোকাবিলায় সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয়ে সহায়তা দিতে পারে ইউএনডিপি।
এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, আমরা আসলে (মূল্যায়নের) প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনের চাহিদা কী—তা বোঝার চেষ্টা করছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে তারা (ইসি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং কমিশন কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়—তা বোঝার চেষ্টা করছি আমরা।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ শুরু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে গোয়েন লুইস বলেন, সেখানে কিছু প্রযুক্তিরও প্রয়োজন হতে পারে। আইটি সক্ষমতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য কারিগরি সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছে ইসি। অপতথ্যের বিস্তৃতিরোধেও সহায়তা চেয়েছে তারা।
এ ধরনের আরও কী কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা বুঝতে ১০ দিনের মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করা হবে জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, এরপর নির্বাচন কমিশনের সামনে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য ইউএনডিপির কাছে কমিশনের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত প্রযুক্তি, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উপকরণের উন্নয়নের মতো কিছু বিষয়। প্রতিনিধি দলটি এসব প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করতেই (বাংলাদেশে) এসেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এরপর ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব তারা আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমা সামনে রেখেই তারা কাজ করছেন।
উদাহরণ টেনে আখতার আহমেদ বলেন, ইউএনডিপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে (ভোটারের) তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করবে না, বরং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করবে তারা।