আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন তহমুল ইসলাম (২৭) নামের এক তরুণ। বাদী তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুল কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি তালিকায় থাকা অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে বিষয়ে বাকি আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে
সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), রাদওয়ান সিদ্দিক ববি, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, শামীম ওসমান, কবির বিন আনোয়ার, তারিক আহমেদ সিদ্দীক, নাজমুল হাসান পাপন ও রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকসহ জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। কিশোরগঞ্জের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ও পৌর মেয়ার পারভেজ মিয়াসহ অন্য আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটির নেতা-কর্মী।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে বিএনপির একজন কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের তালিকায় আমার নাম রয়েছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে ন্যায় বিচার চেয়ে মামলা করেছি।