হাসিনা ছিল পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর স্বৈরাচার শাসক : দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনা ছিল পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর স্বৈরাচারী শাসক। অনেকেই বিশ্বাস করেছিল এই দানব স্বৈরাচার সরকারকে সরানো যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই স্বৈরাশাসককে বিদায় করেছে।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে যেসব সাংবাদিকরা সত্য কথা বলেছে, লিখেছে তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। বিরোধী দলের রাজনীতিকরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে। যার কারণে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে। তেমনি সাংবাদিকরা সত্য লেখার কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, গত ১৬-১৭ বছর যে স্বৈরাচার দেশ শাসন করেছে। সে ছিল পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর স্বৈরাচারী শাসক। অনেকেই বিশ্বাস করেছিল এই দানব স্বৈরাচার সরকারকে সরানো যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই স্বৈরশাসককে বিদায় করেছে। এই ছাত্র-জনতার মধ্যে শিশুও শহীদ হয়েছে। অসংখ্য ছাত্র, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আমি সরকারকে আহ্বান করব যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়েছে তাদের বিষয়ে সিরিয়াস হবেন।
যারা স্বৈরাচারী পন্থায় গত ১৬-১৭ বছর শাসন করেছে। তারা এই দেশে লুটপাট করে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ তার নাতি-নাতনিরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ লুটেরা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই ফ্যাসিবাদ দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশের যাতে আর না আসতে পারে; এর জন্য শুধু রাজনৈতিক দলের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না। এদেশের সাধারণ জনগণ এবং যারা মিডিয়ার সাথে জড়িত আছে তাদেরকেও সজাগ থাকতে হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি পারে দুর্নীতি লুটপাটের খবর সামনে নিয়ে আসতে। যদিও তাদের ঝুঁকি বেশি তারপরও তাদের এই কাজগুলো করতে হবে।