সেন্টমার্টিনে তিন ইকো রিসোটের ২৬ কক্ষ পুড়ে ছাই
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি ইকো রিসোটের ২৬টি কক্ষ। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসোর্টের মালিকরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক ও সাইরি ইকো রিসোর্টে এই আগ্নিবাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টের মালিকদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সুত্রপাত। এতপর পাশে থাকা বিচ ভ্যালির ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টের সাতটি ও সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষটিসহ সর্বমোট ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। অভ্যর্থনা কক্ষের ঠিক পেছনে বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্ট। বাতাস থাকায় কয়েক মিনিটের মধ্যে বিচ ভ্যালির ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগে শুকনো কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিচ ভ্যালিসহ পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা এবং আগত পর্যটক ও বিজিবি কোস্ট গার্ড ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ভোররাত প্রায় ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান দ্বীপে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিস কিংবা উন্নত মানের কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
ইকো রিসোর্টের কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাতের সময় বেশিরভাগ পর্যটক রিসোর্টের বাইরে থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পর্যটকদের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং নির্ঘুম রাত কাটান তাঁরা। কটেজগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণের কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সব কক্ষই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।