আমদানির খবরে কমেছে চালের দাম
রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মাছ, মুরগি আর ডিমের দাম। তবে নদীর মাছ বলে বিক্রেতারা তার দাম হাঁকছেন আকাশছোঁয়া। তবে গেল সপ্তাহের মতোই আছে চাল, মাংস ও সবজির দাম। যদিও ছুটির দিনেও বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি ছিল কম।
গত ১২ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ ভাগ থেকে কমিয়ে ২৫ ভাগের আনার সিদ্ধান্তের সুফল খুব সামান্য হলেও মিলতে শুরু করেছে। প্রকারভেদে মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমিয়েছেন।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে। তবে অনেক বিক্রেতাই আগের দামেই বিক্রি করছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ক্রেতা কম থাকায় আগের কেনা চালই রয়েছে অনেক।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী (৫৫) আজ শুক্রবার দুপুরে বলছিলেন, ‘প্রত্যেক বছরই ঈদের পর চালের দাম একটু হলেও বাড়ে। এ বছর বাড়েনি। সরকারের চাল আমদানির ওপর ভিত্তি করে বাজার স্থিতিশীল রাখছে। বাজার না বেড়ে বরং কিছুটা কমছে।’
পাশের আরেকজন ব্যবসায়ী (৪০) বলেন, ‘সরকারির আমদানির কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দামটা কমে গেছে। এতে বোঝা যায়, মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে রাখে।’
এদিকে মাছের বাজার বেশ চড়া। বাজারে ইলিশের সরবরাহ ভালো হলেও দামের ধার কমেনি। এক কেজির উপরে ইলিশের দাম হাজার টাকার উপরে। বড় বড় মাছের চেয়ে ছোট আর মাঝারি মাছের ক্রেতাই বেশি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ইলিশের আমদানি ভালই আছে। তবে দাম একটু বাড়তি। ৬০০ গ্রামের ইলিশ গড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। মানুষ এটা খেতে পারছে। আর এক কেজির উপরে যেটা সেটা বর্তমানে হাজারের উপরে বিক্রি হচ্ছে।’
বাজারে মাছ কিনতে আসা এক যুবক (২৫) বলেন, ‘মাছ কিনতে গিয়ে মনে হচ্ছে, আগের তুলনায় দাম একটু বাড়ছে। কেজিপ্রতি দাম ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বাড়ছে।’
‘আগে কৈ মাছ প্রতিকেজি ১২০ টাকা করে কিনতাম। এখন সেই মাছ কিনলাম ১৪০ টাকা করে’, বলেন আরেক ক্রেতা।
তবে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে মুরগির দাম একটু কমই থাকে। কারণ, বর্ষায় অনেক ফার্মে পানি উঠে যায়, তার আগেই খামারিরা লস দিয়ে হলেও সব মুরগি বিক্রি করে দেয়। এ কারণে দাম কম থাকে। তবে এবার মুরগি কমে গেছে, তাই দাম বেশি।
কাঁচাবাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। সবজির কেজিপ্রতি দাম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় মধ্যে। তবে গাজর, বরবটি, টমেটো ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর অবশেষে কমেছে কাঁচামরিচের দাম।
এ ব্যাপারে সবজিবিক্রেতা এক বৃদ্ধ বলেন, ঈদের পর থেকে কাঁচামরিচ ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখন তা কমে গেছে। কারণ, ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে। এখন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।