কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে ডজনে ১০ টাকা করে বেড়েছে ডিমের দাম।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে—ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এ ছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা।
কাওরানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হারুন বলেন, ‘লকডাউনের কারণে হোটেল বন্ধ ছিল। অনেকের হাতে টাকা কম থাকায় কিনে খেতে পারতো না, তাই দাম কম ছিল। তিনি আরও বলেন, এখন বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আবার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে বিক্রি বাড়ায় মুরগির চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।’
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী মনসুর বলেন, ‘বাজারে মুরগির চাহিদা অনেক বেড়েছে। তবে, সরবরাহ কম। এ কারণে গত কয়েক দিনে পাইকারিতে মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমাদের ধারণা—সামনে মুরগির দাম আরও বাড়বে।’
এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে—ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজি এসেছে। সবজির বাজারে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিম, গাজর ও টমেটো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে—১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
ঢেঁড়সের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বরবটি কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশেরও দেখা মিলছে। তবে দাম এখনও সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে বাইরেই। বড় (এক কেজির বেশি ওজনের) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আর ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।