খেলাপি কমাতে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড়
চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণের কিস্তি ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি হবেন না ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে পরবর্তী কিস্তি পরিশোধে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সময়ও পাবেন তারা। এমনই সুযোগ দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটির সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অশ্রেণিকৃত মেয়াদী ঋণের বিপরীতে ২০২২ সালের অক্টোবর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে উক্ত ঋণগুলোর বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। বহিঃবিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ায় এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ঋণগ্রহীতাদের প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা এবং ঋণগ্রহীতাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে মেয়াদী ঋণের বিপরীতে ২০২২ সালের অক্টোবর হতে ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ চলতি ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে উক্ত ঋণগুলোর বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
সার্কুলারের মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদী ঋণসমূহের ২০২২ সালের এপ্রিল হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি/কিস্তিগুলোর অপরিশোধিত অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) প্রদেয় হবে। তবে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সাথে বর্ধিত ১ বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনঃনির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে। এছাড়া আগের সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।