মুরগির দাম বেড়েছে দেড়গুণ
বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের পর এবার মুরগির মাংসের দামও বাড়ছে। গত ১০-১২ দিন ধরে সব ধরনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তবে তেলের দাম কিছুটা কমলেও, বাজারে কমেনি চালের দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
দেশের মানুষের আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস মুরগির মাংস। কিন্তু কিছুদিন ধরে মুরগির দাম ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতির কারণে তা চলে যাচ্ছে নিম্ন বা মধ্য আয়ের মানুষেরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বেশি বেড়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোনালি বা কক মুরগির দাম।
দোকানিরা জানিয়েছেন, আগে এই মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকার বেশি। ব্রয়লার মুরগির দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৫ বা ১৬০ টাকায়। বেড়েছে লেয়ার ও দেশি মুরগির দামও।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে আসা একজন ক্রেতা (৩২) আজ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দিন দিন মুরগির দাম বাড়ছেই। এটা সবার জন্য সমস্যা।’
একই বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা (৩৫) বলেন, ‘মুরগির ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বড় বড় কোম্পানি পাঁয়তারা করছে। তারা মাল ছাড়ছে না। ওরা টাকাটা কামায় নিতাছে। মালটা বন্ধ করে দিছে। এই ব্যবসা নিয়া সিন্ডিকেট করে ফেলছে।’
এদিকে গরু বা খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হলেও, বাজারে এখনো স্বস্তি ফেরেনি চালের দামে।
তবে আশার কথা হলো গত এক সপ্তাহ ধরে কোন চালের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। একই দাম অব্যাহত আছে সব ধরনের চালে।
রাজধানীর একটি আড়তের একজন চালবিক্রেতা (৬০) বলেন, ‘চালের বাজার এক সপ্তাহ ধরে একই রকম আছে। মনে হচ্ছে, আর চালের দাম বাড়বে না। আর যদি কোনো কারণে বাড়ে, তাহলে সরকার যদি ভালোভাবে আমদানি করে, সেটা ঠিক হয়ে যাবে।’
‘মিলওয়ালারা ধানের দাম উল্টা-পাল্টা বলে চালের দাম বাড়ায়। কিন্তু সরকার যদি আমদানি করে তাহলে এগুলো মিশমার হয়ে যাবে’, যোগ করেন ওই চালবিক্রেতা।
কিছু দিন আগে বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেলের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে সেই নির্ধারিত দামেই ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।