রাজধানীতে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী
রাজধানীর বাজারে দুই সপ্তাহ থেকে বাড়ছে ডিমের দাম। আর এই ডিমের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরানবাজার, মুগদা, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকা ডজন দরে। এর আগে চলতি মাসের ১০ তারিখে বিক্রি করা হয়েছে ১১০ টাকা ডজন দরে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে এক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, বাড়তি দাম দিয়ে ডিমের ডজন কেনার কারণে সকালে নাস্তার সময়ে অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ ডিম খেতে পারেন না। আগে ডিম ভাজি ১৫ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ২৫ টাকায় না বিক্রি করলে পোষায় না।
রায়সাহেব বাজারে ক্যাফে ইউসুফের সামনে কথা হয় রশিদ নামের এক ভোক্তার সাথে। তিনি বলেন, আগে ২৫ টাকা দিয়ে ডিম ভুনা খেতাম। এখন ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা দিয়ে ডিম ভুনা খেতে হয়। আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষ এখন হোটেলে খেতে গেলে চিন্তা করতে হয়।
রশিম বলেন, গরিব মানুষের পুষ্টির উপায় ডিম। সেটাও যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ ডিম খেতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
যাত্রাবাড়ীতে ডিম কিনছিলেন মজিদ মিয়া। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম উৎস ডিম। এই ডিমের দাম এখন আকাশচুম্বি।
মজিদ মিয়া বলেন, সকালের নাস্তায় বাসায় সবাই ডিম খেতাম। কিন্তু এখন দাম বাড়ার কারণে শুধু ছোট বাচ্চাদের দেই। এভাবে দাম বাড়লে আর কয়দিন পরে ছেলে-মেয়েদেরও দিতে পারব না। সরকার এখনই যদি এই দাম না আটকায়, তাহলে দুইশ টাকা হতে সময় লাগবে না।
মুগদার ডিম ব্যবসায়ী হারুন বলেন, বিভিন্ন কারণে ডিমের দাম বাড়ছে। এরমধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে, পশুখাদ্যের দাম। পশুখাদ্য গত এক বছরে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে খামারিরা ক্ষতির মুখে আছেন। তাই ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন সর্বোচ্চ দামে ডিম কিনে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডিম কিনতে এসে ১৩০ টাকা ডজন, ৪৫ টাকা হালি শুনেই অনেক ক্রেতা চলে যাচ্ছে। ফলে বিক্রি কমে গেছে।’