সবজির দাম চড়া, কমেছে মুরগি-পেঁয়াজ
রাজধানীর বাজারে এখনো চড়া সবজির দাম। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। আর চাল, তেল, চিনি, ছোলাসহ মুদি পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তাই বিক্রেতারা হতাশ।
অনেকদিন ধরেই চড়া মুরগির বাজার। রমজান মাস শুরুর পর দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। তবে খাসি ও গরুর মাংস এখনো বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা (৪৫) বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম কমছে। আজকের বাজার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। সোনালি ২৫০ টাকা কেজি। এটাও কমছে। আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি।’
মুদিবাজার অনেকটাই ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। আর রমজানের শুরুতে অনেকেই কেনাকাটা সেরে রাখায় বিক্রি কম। দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
একই বাজারের মুদি দোকানদার (৫৫) বলেন, ‘আজকে ছোলা ৬৫ টাকা, চিনি ৬৬ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা আর মোটা ডাল ৭২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
এ সময় একজন ক্রেতা (৪০) বলেন, ‘১০০ টাকার জিনিস যদি ১০ টাকা বাড়ে, আমরা হয়তো সাময়িকভাবে মেনে বা পুষিয়ে নিতে পারব। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা ডেইলি কাজ করেন তাদের খুব বাজে অবস্থা।’
মুদিবাজারে ভিড় না থাকলেও মাছের বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
এদিকে, ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের। কেজিতে দাম কমেছে চার থেকে পাঁচ টাকা। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, আগের দিনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে। বাজারে উঠেছে কাঁকরোলসহ নতুন কিছু সবজি।
এক সবজি বিক্রেতা (৬০) বলেন, ‘আজ ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, শশা ৫০, ভেণ্ডি ( ঢেঁড়স) ৫০, ধুন্দল ৬০, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ এবং কাঁকরুল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
এ সময় সবজি কিনতে আসা একজন ক্রেতা (৩৫) বলেন, ‘গত সপ্তাহে বেগুন আমি নিছিলাম ৫০ টাকা করে। আজকে বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিনলাম।’
কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা (৫৫) বলেন, ‘পেঁয়াজ এখন ৩২ টাকা কেজি আর এক পাল্লা ১৬০ টাকা। রোজার আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা পাল্লা ছিল।’
বোরো ধান উঠতে শুরু করলেও বাজারে এখনো এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই। নতুন করে বাড়েনি চালের দাম।
পাইকারি চালের বিক্রেতা (৪৫) বলেন, ‘বৈশাখ মাস আসছে চালের দাম কমার কথা। কিন্তু এখনো আমরা চাল আগের দামেই বিক্রি করতেছি। বাজারে এখনো নতুন চাল এসে পৌঁছায়নি।’
বোরো ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।