সবজির বাজারে সিত্রাংয়ের প্রভাব
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলে গেছে। তবে, এর প্রভাব রেখে গেছে। সিত্রাং লণ্ডভণ্ড করেছে রোপা আমন ও সবজির মাঠ। ফলে, বাজারে সজবির দাম চড়া। ডিম কিংবা চিনির দামের অবস্থাও ভালো না। হতাশা দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতা, উভয়ের মধ্যেই।
বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফলে, বাজারে সবজির সরবরাহ কম। সেজন্য দাম চড়া। অন্যদিকে, সরকার নিধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বাড়িয়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, সব সবজিই বাজারে আগের মতো রয়েছে। বেড়ে গেছে শুধু দাম। আজ বিক্রেতারা অযুহাত দেখাচ্ছেন সিত্রাংয়ের। বাজারে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি। সব জিনিসের দাম বেশি। সবকিছু কিনে খাওয়াটা যেন দিনদিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
এ ছাড়া বাজারে মাছ-মাংস, সবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহের চেয়ে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশিতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গোল কালো বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গোল সবুজাভ সাদা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সাদা মূলা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, পটল, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা করে। শিম ১১৫ থেক ১২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতিটা ৬০ থেকে ৮০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম বাড়লে স্থিতিশীল আছে ডিম ও মাংসের বাজার। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা, হাসের ডিম ২১০ আর দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৩০-৫৫০ টাকায়, দেশি হাঁস ৪২০-৪৫০ কেজি আর কবুতর প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজারে আজ গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে।
বাজারে চালের দামও রয়েছে স্থিতিশীল। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা, আটাশ ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮৩ থেকে ৯১ টাকা, মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা, চিকন চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাটারি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা এবং পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে।