হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমতে শুরু করেছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দুর্গাপূজার বন্ধের পর ভারত থেকে পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমে এখন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
বন্দরের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত থেকে আট দিন আগেও এ পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু গত রোববার থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমতে থাকে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম কমে একই মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে।
এদিকে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘ভারত থেকে বন্দরে পেঁয়াজের চালান আসা মাত্রই আমরা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজগুলো নিয়ে দেশের বাজারে সরবরাহ করতে পারে।’
বন্দরের আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘গত শনিবার দুর্গাপূজার ছুটি শেষ হয়েছে। ফলে রোববার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। এ দুইদিনে সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। তাতে পেঁয়াজের দাম কমের দিকে।’
আমদানিকারক মোর্শেদ বলেন, ‘দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কারণ প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে দুই টাকার মতো শুল্ক দিতে হতো সরকারকে। যা গত রোববার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা করে কমেছে। কিছুদিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম।’
এদিকে হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন ও ফেরদৌস হোসেন জানান, ১১ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত তাঁরা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আজ সেই পেঁয়াজ মানভেদে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করছেন। এতে কেজিতে ১০-১২ টাকা করে কমেছে। কিছুটা হলেও ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।