বাজেট
দশ মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নে ১০টি মন্ত্রণালয়ে বিশেষ নজরদারির জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করার সময় এ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া ধীরগতিসম্পন্ন ৫০টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক সাহায্য ছাড়ের গতি কম সেসব প্রকল্প চিহ্নিত করে ত্রৈমাসিক ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে এডিপি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, তা আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। এ মেয়াদে আমাদের লক্ষ্য হলো প্রকল্প সাহায্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং এডিপির পূর্ণ বাস্তবায়ন। পাশাপাশি, এর গুণগত মান নিশ্চিত করার দিকেও আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেব।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত আরো বলেন, ‘এডিপি বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো এবং অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অত্যধিক ব্যয়ের প্রবণতা হ্রাস করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এ ছাড়া, উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার নির্ধারণ, নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণের বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। উপরন্তু দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের পুল গঠনের বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গতি হতাশাব্যঞ্জক বলে আখ্যায়িত করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে বরাদ্দে শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের গতি ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ। অথচ এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অনুকূলে মোট এডিপির ৭১ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। তাই কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থ ব্যয় করা যায়নি গত অর্থবছরে। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছিল, সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ৬০ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছিল ২৭ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। মূল এডিপির ৭১ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ ছিল এসব মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে। মূলত বেশি বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয়ের অর্থ ব্যয়ের দক্ষতার ওপরই নির্ভর করছে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন।
এডিপি বাস্তবায়নে যে বৃহৎ ১০টি মন্ত্রণালয়ে বিশেষ নজরদারির জন্য টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে মন্ত্রণালয়গুলো হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়।