বাজেট
বাজেট শিল্পবান্ধব : এফবিসিসিআই
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাজেটকে দেশীয় শিল্পবান্ধব বলে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
urgentPhoto
সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ‘সরকার চাইছে স্থানীয় শিল্প উঠে দাঁড়াক।’ আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের মতো আয়োজন করেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তবে এ ব্যাপারে আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে তিনি জানান।
মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাজেট দেশীয় শিল্পবান্ধব হয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরগুলো আমাদের নতুন শিল্প করার বাধা, যেমন ভূমি, বিদ্যুৎ, গ্যাস- আজকে অর্থমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে, উনি আমাদের নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেবেন। উনি বলেছেন, বিদ্যুতে আর কোনো সমস্যা নেই, সমাধান হয়েছে।’
মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘সবাই চায় দেশ শিল্পায়িত হোক। আজকের যে পরিবর্তন তা কিন্তু দেশীয় শিল্পকে তুলে ধরার জন্য। তার মানে হচ্ছে সরকার চাচ্ছে স্থানীয় শিল্প উঠে দাঁড়াক।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শিল্পের জন্য স্থানীয় ও বিদেশী উভয় উপকরণ পাওয়া যাবে। সেদিক দিয়ে আমি একে শিল্পবান্ধব বাজেট বলব। যত বড় বাজেট তত কর্মচাঞ্চল্যতা সৃষ্টি হয়। যত বেশি কর্মকাণ্ড ও কর্মচাঞ্চল্য চলে আসে, তত বেশি আমরা ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাই ব্যবসা করার জন্য।’
এবার যে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আসবে, তা গতবারের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করেন মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয়েছে। যে রাজস্ব উনারা সংগ্রহ করবেন, সেটা কি আমরা যারা ট্যাক্স দিই, কেবল তারাই দেব? না, নতুন কেউ দেবে। এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সংস্কার করা হবে। আওতা বাড়বে।’
মাতলুব আহমাদ আরো বলেন, ‘পাট জাতীয় পণ্যের সমস্যা অনেক। ১৪ বা ১৬ শতাংশ সুদের হার নিয়ে ব্যবসায়ীরা কেউ ব্যবসা করতে পারছে না, আমরাও পারছি না। আমাদের আশপাশের দেশেও এত উচ্চ হারে সুদ নেই। ব্যাংক মালিকসহ সবার সঙ্গে আমি কথা বলছি। সবাই মিলে আমরা একটা সমাধান খুঁজব।’