মুদ্রানীতি বিনিয়োগবান্ধব কিন্তু সতর্ক
ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে বিনিয়োগবান্ধব সতর্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ রোববার সকাল ১১টায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যা প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা ছিল।
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এ সময় শেয়ারবাজার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে নজরদারি না বাড়ালে অতীতের মতো আবারও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ফজলে কবির বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে শেয়ারবাজার বিরাজমান মন্দাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে। শেয়ারবাজারের এই সুস্থধারা অব্যাহত রাখতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কার্যকর নজরদারি অত্যন্ত জরুরি।’
এ ছাড়া উদ্যোক্তাদের ও অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্য আয় অনুপাতের (পিই) শেয়ারের বিপরীতে মার্জিন ঋণ জোগানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা বাঞ্চনীয় বলে উল্লেখ করেন গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে সঠিক খাতে ব্যবহার না করে, কেউ অতিলোভে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে কি না, সেদিকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। আর শেয়ারবাজারে সতর্ক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার সীমা নিয়ে আইন করা হয়েছে বলে জানান গভর্নর।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, শেয়ারবাজারের অতীতের উত্থান-পতন এবং বর্তমান অবস্থার কারণ নির্ণয় করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ নয়। এটি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামান।