পারমাণবিক প্রযুক্তিতে উন্নত জাতের ধান
পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি (বাতান)। এ ধরনের জাতে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ১০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে।
পণ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পত্রিকা ওরিজা জানিয়েছে, দুই জাতের মধ্যে ‘ট্রপিকো’ নামের ধানের বীজ বাজারে ছাড়তে এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েছে বাতান।
বাতানের বিকিরণ ও পরিকল্পন প্রয়োগ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, ট্রপিকো উদ্ভাবনের জন্য বিভিন্ন পারমাণবিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গামা রশ্মি ও ইলেকট্রোন বিকিরণ ঘটানো হয়। এ পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত ধান অন্য জাতের চেয়ে বেশি ফলনশীল হবে। ট্রপিকো ইন্দোনেশিয়ার মোট বীজ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে বলে দাবি করেছে বাতান।
যেকোনো বীজের তুলনায় ট্রপিকোর টিকে থাকার ক্ষমতা বেশি। রোপণের পর এ জাতের চারার ৯৫ শতাংশই বেঁচে থাকে।
১৯৮২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৭টি জাতের উন্নত ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে বাতান।
ওরিজা জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ধান উৎপাদনে পর্যাপ্ততা অর্জনে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই হয়তো তারা আমদানি বন্ধ করে দেবে। এ লক্ষ্যে দেশটির সরকার এক লাখ হেক্টর জমিতে সেচ প্রকল্প সংস্কার ও পুনঃস্থাপন করবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ২৫ হাজার টন ধানবীজ ও প্রয়োজনমতো সারও ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য দেশটির সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। গত বছর থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চার লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানি করে দেশটি।
মার্কিন কৃষি অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে ইন্দোনেশিয়া তিন কোটি ৬৫ লাখ টন চাল উৎপাদন করে এবং আমদানি করে ১৩ লাখ টন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত সময়ে দেশটিতে তিন কোটি ৯২ লাখ টন চাল খরচ হয়েছে।