অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছরের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩১তম। এ বছর স্বাধীনতা সূচকে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন হয়েছে ৫৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট। তবে সার্বিকভাবে আগের বছরের চেয়ে দশমিক ২ পয়েন্ট কমেছে। এ সূচকে আগের বছর পায়েন্ট অর্জন হয়েছিল ৫৪ দশমিক ১ পয়েন্ট।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সহায়তায় মার্কিন থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাধীন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাধীন, মধ্যম পর্যায়ের স্বাধীন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরাধীন ও নিগৃহীত- এই পাঁচটি গ্রুপে দেশগুলোকে ভাগ করে সমীক্ষা চালানো হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূচকে পয়েন্ট হিসাব করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- সার্বিক অর্থনীতি, সম্পদের অধিকার, দুর্নীতিতে স্বাধীনতা, রাজস্ব স্বাধীনতা, সরকারি ব্যয়, ব্যবসায় স্বাধীনতা, শ্রমিক স্বাধীনতা, মুদ্রানীতির স্বাধীনতা, বাণিজ্য স্বাধীনতা, বিনিয়োগ স্বাধীনতা ও অর্থায়ন স্বাধীনতা সূচকে দেশগুলোকে বিবেচনা করা হয়েছে।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরাধীন’ গ্রুপের দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া ১২০তম, পাকিস্তান ১২১তম, কেনিয়া ১২২তম, ভারত ১২৮তম, ও বাংলাদেশ ১৩১তম অবস্থানে রয়েছে। শ্রমিক, দুর্নীতি ও আর্থিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উন্নতি করলেও বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। সার্বিকভাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
অর্থনৈতিক সূচকে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরাধীন ও নিম্ন পর্যায়ে ওঠানামা করেছে। এ ছাড়া অর্থায়ন স্বাধীনতা, শ্রমিক স্বাধীনতা, দুর্নীতিতে স্বাধীনতা ও বাণিজ্য স্বাধীনতায় কিছুটা শালীন পর্যায়ে দঁড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ১০ এর মধ্যে ৪ অর্জিত হয়েছে। তবে সামগ্রিক নীতি সংস্কার থেমে আছে।
সচরাচর আইন অবজ্ঞা, বাধাহীন দুর্নীতি ও বিচার পদ্ধতিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে অর্থনীতির অগ্রগতির ভিত দুর্বল হচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্যের অভাবে নীতি সংস্কার, পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির গতি খর্ব হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন হওয়া সত্ত্বেও এসব কারণে ঠিক যেন সম্ভাবনার মুখেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
৮৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে হংকং। শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে আরো রয়েছে সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, চিলি, এস্তোনিয়া, আয়ারল্যান্ড ও মরিশাস। এ সূচকে সিঙ্গাপুর স্থিতিবস্থায় রয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড বেশ উন্নতি করেছে।