‘আমাদের আপোস করতে হয় বাজেটের কাছে’
‘আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হয় গভর্মেন্টের বাজেটের কাছে।এ ছাড়া আর কিছুই না। ফ্যামিলির বাজেটের ক্ষেত্রেও কম্প্রোমাইজ করতে হয়। তখন অনেক কিছুই দেখা যায় বাজেটের সঙ্গে মিলছে না। ওইগুলা হয়তো বা আমরা বাদ করে দেই। যে না ওইটা আর আমরা কিনব না। আমরা এটা কিনব না।’
এভাবেই বাজেটের পরদিন আজ শুক্রবার ছুটির দিনে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে শ্যামলী থেকে বাজার করতে আসা এক গৃহিণী জানালেন নিজের আক্ষেপের কথা। জানালেন, বাজেট মানে বাজারের তালিকার সঙ্গে মধ্যবিত্ত জীবনের আরো এক দফা আপোস।
আজ নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দাম বাড়া কমার প্রভাবও ছিলো গতানুগতিক।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আগের এই সময়টাতে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। তবে শাক-সবজির দাম কমেছে। এদিকে, মাছ-মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানা যায়।
এদিকে, স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামেই। তবে, মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
কথা হয় বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারের ইস্টিমেট যেটা থাকে, আমার হাতে, বাজেট ক্রস হয়ে যায়। তখন দেখা যায়, দুই-তিনটা আইটেম বাদ রেখে চলে যেতে হয়।’
আদা কিনতে গিয়ে হতভম্ব এক ক্রেতা বলেন, ‘এক দোকানে আদা কিনতে গেছি, উনি দাম বললো আমার কাছে একশ টাকা কেজি। আমি একটু কম বললাম। বলে যে হয় না, একশ টাকাই। টাকা দিতে গেছি, বলে ১২০ টাকা। আমি বলি, কেন, মাত্র আপনি ১০০ টাকা বললেন। কয় না তখন আমি জানতাম না। মশলার উপরে ট্যাক্স বসাইছে।’
মশলার দোকানের এক বিক্রেতা বলেন, ‘মশলার দাম সবগুলারই বাড়ছে, জিরা, এলাচ, দারুচিনির সবগুলারই।’
অন্যদিকে একজন সবজি বিক্রেতা বললেন, ‘কাঁচাবাজার এই কমে, এই বাড়ে। এটা আমাদের কিচ্ছু নাই। কেজিতে ১০ টাকা, ১৫ টাকা, ১২ টাকা এরকম কম।’
দেখা যায়, বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ার কথা বলা হয়েছে তা যথারীতি বেড়ে গেছে। তবে, যেসব পণ্যের দাম কমে গেছে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বাজেট কার্যকর হওয়া পর্যন্ত।
তবে, বছর জুড়েই ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশি মতো নিত্যপণ্যের বাজারের দাম উঠানামার পরিবর্তে একটি যৌক্তিক এবং স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশার কথা জানালেন ভোক্তারা।