প্রস্তাবিত বাজেটকে চমৎকার বললেন তোফায়েল-শেখ সেলিম
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে চমৎকার বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন। এরপর দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এবারের এই বাজেট গণমুখী বাজেট। এই বাজেট করের বোঝা নেই এবং ব্যবসায়ীরাও খুশি হবে। আমার মনে হয় অত্যন্ত চমৎকার বাজেট দেওয়া হয়েছে।
তোফায়েল বলেন, এ বাজেটে যদি করের বোঝা আসত সাধারণ মানুষের উপরে একটা চাপ আসত। তাহলে প্রতিক্রিয়া হতো। এ বাজেট দেওয়ার পর সেগুলো হবে না।
এবারের বাজেটে গত এক বছরের সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করেন প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা চমৎকার বাজেট। কারণ কারো ওপর নতুন করে কোনো কর আরোপিত হবে না। ভ্যাট নিয়ে যে জটিলতা আছে, সেই ভ্যাট জটিলতাকে সংশোধন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এবং বড় ব্যবসায়ীদের ভেতর কোনো ভুল বোঝাবুঝি না থাকে এবং ভোগান্তি না হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮.২০ শতাংশ। ঘাটতি এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন ব্যয় তিন লাখ ২০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ বড়। ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে বক্তব্য শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে অর্থমন্ত্রীর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নিজেই বাজেট বক্তব্য দেন।