টাকা ফেরত পেলেন ইবিএলের পাঁচ গ্রাহক
অটোমেটেড টেলার মেশিনের (এটিএম) বুথে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) যেসব গ্রাহকের অর্থ খোয়া গিয়েছিল, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ভুক্তভোগী পাঁচ গ্রাহকের কাছে চেক হস্তান্তর করেছে ইবিএল কর্তৃপক্ষ।
এটিএম জালিয়াতিতে ইবিএলের ২৪ জন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর মধ্যে আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবা আক্তার, শাসিফুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, আবু মুসা তারিক ও দীপর চন্দ্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকাল ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকটির ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজন জানিয়েছিলেন, আজ উপস্থিত থাকবেন। তবে পাঁচজন উপস্থিত হন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মধ্যে মাহবুবা আক্তারকে ৮০ হাজার টাকা, শাসিফুজ্জামানকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, মো. কামরুজ্জামানকে পাঁচ হাজার টাকা, আবু মুসা তারিককে পাঁচ হাজার টাকা ও দীপর চন্দ্র দে সাত হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন।
ইবিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাকিদের টাকাও পর্যায়ক্রমে ফেরত দেওয়া হবে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা, ইবিএলের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হাসানুর রশিদ প্রমুখ।
১২ ফেব্রুয়ারি ইবিএলের এক গ্রাহকের হিসাব থেকে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে একটি চক্র। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ইবিএলসহ একাধিক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কার্ড সেবা বন্ধ রাখে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কার্ড ক্লোনিং করে চারটি ব্যাংকের ৩৬ গ্রাহকের হিসাব থেকে ২০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা লোপাট করা হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের ঘটনার প্রমাণও মিলেছে।
সম্প্রতি একটি বুথের ক্লোজড সার্কিট টিভির (সিসিটিভি) ভিডিওচিত্র দেখে কয়েকজন বিদেশিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজন বিদেশি ও বাংলাদেশি মিলে এই জালিয়াতি করছে। ফুটেজের অবয়বের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।