ট্যানারি সরাতেই হবে, বিকল্প নেই : শিল্পমন্ত্রী
সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি শিল্পনগরীতে ঢাকার চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো স্থানান্তর করতেই হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ট্যানারি সরাতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ রোববার দুপুরে ‘জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৬’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যম আগে সরকারের সমালোচনা করে বলেছিল—সরকারের অবহেলা, গাফিলতির কারণে ট্যানারি স্থানান্তর হচ্ছে না। এতে নদীগুলো দূষিত হচ্ছে। রাজধানী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। এখন সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ার পর সেসব গণমাধ্যমই আবার বলছে—গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ ছাড়া ট্যানারি ওখানে কীভাবে যাবে? আমরা কাকে গ্যাসের সংযোগ দেব? কাকে পানির সংযোগ দেব? ওইখানে তো কোনো মানুষ, প্রতিষ্ঠান নেই। আজকে আপনি আবেদন করেন, কালই সংযোগ পাবেন।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যানারির কারণে কত মানুষ মারা গেছে, তার কি কোনো হিসাব আছে? কত মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?’
‘ট্যানারি সরাতেই হবে, সরাতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই’, যোগ করেন শিল্পমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাপতি কে এম হাবিবুল্লাহ।
ট্যানারি (চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা) স্থানান্তরে গত জানুয়ারি মাসে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এই সময়সীমা আরো দুই মেয়াদে বাড়ানো হয়। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেওয়ার পরও হাজারীবাগের কারখানাগুলো স্থানান্তর হয়নি।
গত ২০ মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভায় বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদের দূষণ রোধ-সংক্রান্ত সভায় হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ঘোষণা অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে যাতে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য হাজারীবাগের কারখানাগুলোর প্রবেশপথগুলোতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে জাতীয় এসএমই মেলা আয়োজন করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
মেলায় সারা দেশের ১৮৩টি এসএমই প্রতিষ্ঠান ১৯৩টি স্টলের মাধ্যমে অংশ নেবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।