প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ
দেশের রাজনৈতিক সংকটের কোনো উন্নতি না হলেও রপ্তানি খাতের ইতিবাচক তথ্য আসায় বিনিয়োগকারীরা আশান্বিত হয়ে উঠেছেন। আর টানা দরপতনে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম অনুকূলে চলে আসায় শেয়ারবাজারে ফিরেছেন বিনিয়োগকারীদের অনেকে। এতে লেনদেন বেড়েছে। পাশাপাশি টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে আগের মাসের চেয়ে রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে ওষুধ ও হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে তৈরি পোশাক, চামড়া, মসলা ও পাটজাত পণ্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
শেয়ারবাজারের পতনপ্রবণতায় বেশির ভাগ শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ ছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু, বিভিন্ন কোম্পানির ইতিবাচক আর্থিক প্রতিবেদন ও লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারে কেনাবেচায় ফিরছেন বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ২৮ শতাংশ বেড়ে ২৬১ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয় ২০৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৬টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১২০টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৫২টির।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স আজ আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪৬৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
খাতওয়ারি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৭ শতাংশ ছিল প্রকৌশল খাতে। এ খাতের মোট ২৯টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টির দাম কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল দুটির। বাকি ২১টি কেম্পানির দর বেড়েছে। মূলত, এসব শেয়ারের দাম আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে আসায় ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।
আজ লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ হয় এ খাতে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ২২৫টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ৮৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির। সিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট। অন্য সূচকগুলোও ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি সিকিউরিটি হচ্ছে- ইফাদ অটোস, গ্রামীণফোন, এমজেএল বিডি, সামিট অ্যালায়েন্স, এসিআই, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সিএনএ টেক্সটাইল, এসিআই ফর্মুলেশন, স্কয়ার ফার্মা ও ফু-ওয়াং ফুড।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি সিকিউরিটি হচ্ছে- ইফাদ অটোস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আলহাজ টেক্সটাইল, পঞ্চম আইসিবি, বাটা সু, প্রথম পিএফ মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল পলিমার, গোল্ডেন হারভেস্ট ও এসিআই লিমিটেড।
এ ছাড়া বেশি দাম হারানো ১০টি সিকিউরিটি হচ্ছে- মাইডাস ফাইন্যান্স, এআইবিএল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, জেমিনি সি ফুড, সামিট অ্যালায়েন্স, পিএফ প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, মডার্ন ডায়িং, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন জুট, আইসিবি ও এনটিসি।