শেয়ারবাজারে লেনদেনে বড় অগ্রগতি
দেশের শেয়ারবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৮ শতাংশ।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় আমানতের সুদহার কয়েক বছরের মধ্যে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আর সঞ্চয়পত্রের সুদহার দেড়-দুই শতাংশ পর্যন্ত সরকার কমাতে পারে। এসব খবরের প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
এ ছাড়া দীর্ঘ মন্দার পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। বিভিন্ন সিকিউরিটির দামও বিনিয়োগের অনুকূলে রয়েছে। আর আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারে প্রণোদনা প্রত্যাশা করছে বাজারসংশ্লিষ্টরা। এতেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আজ ডিএসইতে আড়াই ঘণ্টায় লেনদেন হয় ৩৮৩ কোটি টাকার সিকিউরিটি। এ সময় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩৭৮ পয়েন্টে। তবে এর পর থেকে বিক্রির চাপ বাড়ায় সূচকের নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ৭২.১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩৪৯.২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে আজ ৩১৪টি কোম্পানির ১৭ কোটি ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ১০৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫৯৬ কোটি ৭১ লাখ ১২ হাজার ৩৩৫ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি।
ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে পয়েন্ট ৭২.১৭ বেড়ে ৪৩৪৯.২২ পয়েন্ট হয়েছে। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৭.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৬২৪.৭২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১.৫২ পয়েন্ট বেড়ে ১০৪৩.০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।
সিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা আগের দিনের চেয়ে সাত কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। লেনদেন হওয়া ২৫০টি শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ৬৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। সিএসইর সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৩৮ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে টাকার পরিমাণে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো— ইউনাইটেড পাওয়ার, ইফাদ অটোস, ওয়েস্টার্ন মেরিন, এমজেএল বিডি, বেক্সিমকো লিমিটেড, কেপিসিএল, শাহজিবাজার পাওয়ার, এসিআই ফর্মুলেশন, আরএকে সিরামিকস ও অগ্নি সিস্টেম।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো জনতা ইনস্যুরেন্স, সপ্তম আইসিবি, ফারইস্ট নিটিং, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, আইপিডিসি, নর্দার্ন ইনস্যুরেন্স ও মেঘনা সিমেন্ট।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো এমবি ফার্মা, নর্দার্ন জুট, বিএসসিসিএল, বিএসআরএম লিমিটেড, মেঘনা পিইটি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, মাইডাস ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার সিমেন্ট ও শাইনপুকুর সিরামিকস।