সিমেন্টের দাম বাড়ছে
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ শুরু হয়েছে। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ শুরু করেন। এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, নির্মাণসামগ্রীর দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই ২০২৩–২৪ অর্থবছরে আমদানি পর্যায়ে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল ক্লিংকার প্রতি টনের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ২০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই ২০২৩–২৪ অর্থবছরে আমদানি পর্যায়ে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল ক্লিংকার প্রতি টনের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ২০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে প্রতি টন ক্লিংকারের জন্য ৫০০ টাকা শুল্ক দেন সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা। এ ছাড়া বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা টনপ্রতি ৭৫০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে সিমেন্ট উৎপাদনকারীদের জন্য ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ এবং আমদানিকারকরা ৯৫০ টাকা করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ক্লিংকার আমদানির ক্ষেত্রে করহার অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে সিমেন্ট উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। পণ্যটির আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির স্বার্থে এই খাতে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিশেষ প্রস্তাবিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেট সংসদে উপস্থাপনের অনুমতি দিয়ে তাতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বঙ্গভবনের পরিবর্তে জাতীয় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অফিস করেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
এবারের বাজেটের মূল শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় চালাতে এনবিআরকে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এক লাখ এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি।