মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বাজেট সাত হাজার ২৪৩ কোটি টাকা প্রস্তাব
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট সাত হাজার ২৪৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল আট হাজার ৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমেছে ৮১৮ কোটি টাকা।
সেইসঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেটে গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য এই আয়সীমা ৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপন করছেন। জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার যে ভাতা প্রদান করে আসছে, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) তৈরি করা হয়েছে। জি-টু-পি (সরকার থেকে ব্যক্তি) পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় এ ডাটাবেজ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী জানান, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলছে।
ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি একই নকশায় নির্মাণের কাজও চলমান আছে।
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, ২৭১টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন সদস্যের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে ‘বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা’ প্রকল্পের মাধ্যমে সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বাজেট বক্তৃতায়।