বাজেটে জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে : সিপিবি
প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্তির নির্দেশনা নেই, জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিম্ন প্রবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, সর্বনিম্ন বৈদেশিক মুদ্রার কর্তৃত্বপরায়ণতা, বৈদেশিক চাপের মুখে প্রদত্ত বাজেটে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বাজেটে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্তির নির্দেশনা নেই বরং জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে।
এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করে এতে আরও বলা হয়, নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে প্রণীত বাজেট বড় লোকের স্বার্থই রক্ষা করবে।
বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও খেলাপিঋণ উদ্ধারে বিশেষ নির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, সাধারণ মানুষের উপার্জিত অর্থই লুট হয়ে যাচ্ছে, অথচ এটি উদ্ধারে কোনো ভূমিকা নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, এই বাজেটে ঘাটতি আরও বাড়বে এবং আরও নির্ভরতার ঝুঁকি থেকে যাবে।
নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ধারায় এ বাজেট প্রণীত হয়নি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংবিধানের নির্দেশনা মানা হয়নি। মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের ধারা আমাদের সংবিধান অনুমোদন দেয় না, অথচ ওই ধারায় বাজেট প্রণীত হয়েছে।
এ বাজেট আমলা ও লুটেরানির্ভর মন্তব্য করে তারা আরও বলেন, বাজেট প্রণয়নে জনগণের মতামত নেওয়া হয়নি। বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হবে। এই বাজেট আয় বৈষম্য, সম্পদ বৈষম্য, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে কোনো ভূমিকা নেবে না বরং বৈষম্য আরও বাড়াবে। প্রস্তাবিত বাজেট পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের অর্থনৈতিক ধারায় বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান তারা।