বাজেটে চলমান সংকট সমাধানের পথরেখা নেই : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সাবেক নির্বাহী ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নির্বাচনকালীন বাজেট হিসেবে এটি কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারবে বলে মনে হয় না। অর্থনীতিতে চলমান সংকট সমাধানের জন্য কোনো সুস্পষ্ট পথরেখা এই বাজেটে দেওয়া হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যা বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পদক্ষেপের চলমান পদক্ষেপগুলোর বাইরে নতুন করে তেমন কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের উৎসে কর, ভ্যাট ইত্যাদির কোনো ব্যবস্থা সেভাবে করা হয়নি।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘তেলের দামের ক্ষেত্রে উৎসে কর, আগাম আয়কর পাঁচ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে স্পেসিফিক ডিউটি আরোপ করা হয়েছে। ফলে বাজারে তেল ও জ্বালানির মূল্য কমবে, তা মনে হয় না। এ ছাড়া বিদ্যুতের মূল্য কমবে বলে মনে হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমলে সেটির সুফল দেশের ভোক্তারা পাবেন, সেই বিষয়টিও সুস্পষ্ট নয়।’
সিপিডির সাবেক এই নির্বাহী বলেন, ‘আগামীতে টাকার মূল্যমান আরও পতন হলে সেটিকে আটকানোর জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও পরিষ্কার না। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতনের ব্যাপারে কোনো কিছু আলোকপাত করা হয়নি। একটি ফ্যামিলি কার্ড চালু করার কথা বহুদিন ধরে হচ্ছে।’
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘সেবা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কী সম্প্রতি হলো তা বাজেটে নেই। উপরন্তু মোট সামষ্টিক সুরক্ষায় টাকার অঙ্কে ও অর্থনীতির হিসাবের দিক দিয়ে পরিমাণ কমে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিচলিত করার মতো বিষয়টি হলো দুই হাজার টাকার তথাকথিত নূন্যতম সার্বজনীন কর ধরা হয়েছে। এটা অন্যায়।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘একটা সরকার ১৫ বছর দেশ শাসন করার পর দুর্বলতম অর্থ বছর নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে। সেটিকে কাটিয়ে ওঠার জন্য যে অভিনবত্ব, সৃষ্টিশীলতা দরকার, সেটি এই বাজেটে না দেখে হতাশ হয়েছি।’