লুটের মালের মতো করে ডলারের দাম নিচ্ছে ব্যাংক : এফবিসিসিআই সভাপতি
দীর্ঘদিন ধরেই দেশে রয়েছে ডলার সংকট। এই সংকট কাটেনি এখনও। ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করলেও ব্যাংকগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না বিশ্বে সবচেয়ে ব্যবহৃত এই আন্তর্জাতিক মুদ্রা। সংকটের অজুহাতে অধিক দামে ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো, এমন অভিযোগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘লুটের মালের মতো করে ডলারের দাম নিচ্ছে ব্যাংকগুলো।’
আজ বুধবার (৭ জুন) অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি। রাজধানীর ইআরএফ কার্যালয়ে হওয়া এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারের বিপরীতে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। লুটের মালের মতো যেভাবে পারছে, তারা সেভাবে ডলারের দাম নিচ্ছে। এতে পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য এফবিসিসিআই ও এনবিআরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স আছে। কিন্তু, তাদের বৈঠক হয় না। পণ্য আমদানিতে এইচএস কোডের ভুলের জন্য ২০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। জরিমানার ২০ শতাংশ পায় কর কর্মকর্তা। বাজেটে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা থাকলে ভালো হতো।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘১৬ টাকার গ্যাস ২৫ টাকা করার প্রস্তাব আমরাই দিয়েছিলাম। আমাদের শর্ত ছিল, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে হবে। ১৬ টাকার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করা হলো। কিন্তু, এখন আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছি না।’
লোডশেডিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্ধকার বেশি ব্যয়বহুল। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালাচ্ছি। প্রতি কিলোওয়াটের দাম পড়ছে ২৫ টাকা। অর্থনীতি টেকসই ও সেই সঙ্গে শিল্পোৎপাদন ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।’