নতুন অর্থবছরের বাজেট আজ থেকে কার্যকর
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নতুন বাজেট পাস হয় গত ২৬ জুন। আজ শনিবার (১ জুলাই) থেকে সেটি কার্যকর হচ্ছে।
বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এই মঞ্জুরি দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এসব মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীদলের ১০ সংসদ সদস্য মোট ৫০২টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে দুটি মঞ্জুরি দাবিতে আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
২৫ জুন সংসদে অর্থ বিল ২০২৩ পাসের মাধ্যমে বাজেটের আর্থিক ও কর প্রস্তাববিষয়ক বিধিবিধান অনুমোদন করা হয়। আর ১ জুন নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
এবারের বাজেটে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। এ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে এক লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
বাজেটে পাঁচ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র লক্ষ্য। তাই এবারের বাজেটে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে করে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার ও সর্বোপরি স্মার্ট অর্থনীতি গঠনের পথ সুগম হয়।’
অর্থমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ এখন অন্যান্য দেশের জন্য উন্নয়নের গ্লোবাল রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বাংলাদেশ।’