দ্বৈতকর বাতিল ও আয়করের সীমা বাড়ানোর দাবি সিএসইয়ের
লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানি তার মুনাফার ওপর কর দেয়। ফের লভ্যাংশ বিতরণের সময়ও কর দেয়। এতে দ্বৈত করের সৃষ্টি করে। তাই এরূপ দ্বৈতকর পরিহার হলে আগামীতে অধিকতর লভ্যাংশ বণ্টনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি কর আদায় আরও সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব ভবনে আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সিএসইর বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরে চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদারের নেতৃত্বে আলোচনায় সিএসইর বক্তারা বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু আয় বাড়েনি। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে করদাতার। এ থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রাক বাজেট আলোচনায় বিনিয়োগকারীদের অর্থকষ্ট কমাতে ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বক্তারা ৯ দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো—লভ্যাংশ করের ওপর দ্বৈতকরের বিধান প্রত্যাহার করে লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত করা; করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীত করা; তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রদেয় কর হারের ব্যবধান শতছাড়া ১০ শতাংশ করা; নির্ধারিত বার্ষিক মোট নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগের সীমা ৩৬ লাখ টাকার স্থলে মোট ব্যবসায়িক টার্নওভারের ১০ শতাংশ করা; এসএমই ও অল্টারনেটিং ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির প্রথম তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতি; জিরো কুপন বন্ডের মতো অন্য বন্ডগুলোর (করপোরেট বন্ড, সরকারি সিকিউরিটিজ ইত্যাদি) হতে উদ্ভুত আয়কে ও কর অব্যাহতি; স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের নিকট থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার পূর্ববর্তী দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করে এরূপে কর্তিত করকে ব্রোকারেজ ব্যবসা হতে উদ্ভুত সমুদয় আয়ের জন্য চূড়ান্ত করদায় বিবেচনার বিধান রাখা; যেসব দেশের সাথে দ্বৈতকর পরিহার চুক্তি বিদ্যমান আছে সেসব দেশের কোম্পানিগুলো কর্তৃক প্রদত্ত পরামর্শ বা কনসালটেন্সি সেবা, কারিগরি বা টেকনিক্যাল সেবা ও সফটওয়্যার মেইনটেনেন্সের ওপর উৎসে কর কর্তনের বিধান রাজস্ব বোর্ডের কোনোরূপ সনদপত্র ছাড়া প্রত্যাহার; আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কর্তৃক ইস্যুকৃত ইউনিট সার্টিফিকেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ লাখ টাকা রাখা।