বাজেট নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে এমসিসিআই প্রতিনিধিদলের বৈঠক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
সভায় এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান সূচনা বক্তব্যে বাজেট নিয়ে সংগঠনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার বিষয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে চেম্বারের ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘এবারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী অবস্থা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ সব দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সরকারের বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাছাড়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য কিছু সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। সেই হিসেবে এবারের বাজেট একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট হিসেবেও গণ্য হবে।’
কামরান টি রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণামতে, সামগ্রিক জাতীয় রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি আসে এমসিসিআইয়ের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও শিল্প গ্রুপ যারা প্রতিবছরই সর্বাধিক পরিমাণ জাতীয় রাজস্ব প্রদান করে থাকে, যেমন বৃটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, স্কয়ার গরুপ, এসিআই গ্রুপ, বেক্সিমকো ও ট্রান্সকম গ্রুপসহ অন্যরাও এমসিসিআইয়ের সদস্য। সেই হিসেবে এমসিসিআই ও এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোহ জাতীয় রাজস্ব সংগ্রহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।’
এমসিসিআই সভাপতি বলেন, “এমসিসিআই সব সময়ই একটি উন্নত রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালুকরণে গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর দিকে এগিয়ে চলছে এবং সব ক্ষেত্রেই আমরা উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করছি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বর্তমান সকারের দক্ষ নেতৃত্ব এবং বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের সামগ্রিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে এনবিআর দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলছে। বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে কর আহরণের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কর আহরণ করা হয়েছে।’
সভায় কামরান টি রহমান বলেন, ‘এমসিসিআই বাজেট প্রস্তাবনার মধ্যে সব সময়ই বাজেট ব্যবস্থাপনা অধিকতর গতিশীল করার দিকে জোর দিয়ে থাকে। এমসিসিআই বিশ্বাস করে, বাজেট ব্যবস্থাপনা গতিশীল ও স্বচ্ছ হলে ব্যবসায়ীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজস্ব প্রদান করবে। এমসিসিআই তাদের বাজেট প্রস্তাবনায় সামগ্রিক কল্যাণ, তথা দেশের কল্যাণ ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণ চিন্তা করে থাকে। এতে একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হয়, অন্যদিকে দেশের রাজস্ব আয়েও ঘাটতি হয় না। এমসিসিআই জনগণের বিদ্যমান আয় রক্ষা করে এমন প্রবৃদ্ধি-ভিত্তিক নীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে বাজেট প্রস্তাবনা দিয়ে থাকে।’
এমসিসিআইয়ের সভাপতি ও প্রতিনিধি দল বাজেট নিয়ে যেসব বিষয়গুলো তুলে ধরেন—
সভায় এমসিসিআই পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত অর্থবছরে কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সব ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায়, হ্রাসকৃত কোম্পানি করহার সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী নগদ লেনদেনের শর্তাবলীর প্রযোজ্যতার কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি ৮০ শতাংশের অধিক অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি। এই অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির মাধ্যমেই বাংলাদেশের শিল্প ব্যবস্থা ক্রমশ অগ্রসরমান। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় করহারের ক্ষেত্রে অর্থ আইন, ২০২৩ এর শর্তাবলী বাতিল বিবেচনায় বিষয়টিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এমসিসিআই।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে কার্যকরী করপোরেট কর হার অনেক বেশি। এখানে অননুমোদিত ব্যয় এবং উৎসে কর কর্তন এত বেশি যে, ব্যবসায়ীরা এই কর্পোরেট কর হার কমানোর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। বাস্তবে এই কর্পোরেট কর হার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আর থাকে না, তা ক্ষেত্রবিশেষে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়। এই বিষয়টিও ভেবে দেখার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছে এমসিসিআই।
সভায় এমসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপান্তরের দিকে অগ্রসরমান। সরকার সব ক্ষেত্রেই অটোমেশনের দিকে জোর দিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ‘অনলাইনভিত্তিক আয়কর রিটার্ন যাচাইকরণ’ ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ণ জমাদান নথি নং ও তারিখ অন্তর্ভুক্ত করা গেলে এই ব্যবস্থা আরও ফলপ্রসূ হবে হবে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ‘অনলাইনভিত্তিক ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন জমাদান’ পদ্ধতি আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে, করদাতারা সব ধরনের দলিলাদি অনলাইনের মাধ্যমে সংযুক্তির সুবিধা পেলে এই অনলাইন ভিত্তিক আয়কর রিটার্ন জমাদান পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয়তা পাবে বলে এমসিসিআই বিশ্বাস করে।”
এমসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সময়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে কর নির্ধারণ ব্যবস্থা, আপিল, ট্রাইবুনাল, বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) পর্যায়ে প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নপূর্বক অনলাইনে শুনানি গ্রহণের বিধান প্রবর্তন করা অতীব জরুরি। এ ছাড়াও করদাতাদের নোটিশ প্রদান, শুনানিতে করদাতাদের হাজিরা পদ্ধতি ইত্যাদির ব্যবস্থাগুলো ও আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক হওয়া খুবই জরুরি। এই ব্যবস্থার ফলে ব্যবসায়ীদের অর্থ ও সময়ের অপচয়সহ ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাস পাবে।’
আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, বর্তমানে ২৬৪ ধারা অনুযায়ী ৪৩টি ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমাদানের প্রমাণপত্র (পিএসআর) দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক পিএসআর দাখিলের বিধান ব্যবসার সক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে ব্যাহত করছে। পিএসআর সংগ্রহকারীর পক্ষে হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল হচ্ছে। কোম্পানিগুলো এনবিআরের পক্ষে আইনসিদ্ধভাবে কর ব্যবস্থাপনা তদারকি করে থাকে। পক্ষান্তরে, আয়কর আইন বহির্ভূতভাবে, অনেক সময় পিএসআরের তথ্যাবলী ছাড়াও করদাতাদের আয়ের বিবরণ, কর প্রদানের পরিমাণ সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্যাবলী সংগ্রহ করা যৌক্তিকও নয়। তাছাড়াও রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও হালনাগাদকৃত পিএসআর দাখিলের বিধান সাংঘর্ষিক ও বাস্তবসম্মত নয় বলে পরিলক্ষিত হয়। ফলশ্রুতিতে, এই বিধানের ক্ষেত্রগুলো বাস্তবসম্মতভাবে বিবেচনাপূর্বক পরিসর সীমিত করার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
ছয় বৎসর এর অধিককাল পর্যন্ত পরিসম্পদ কর বিবেচনা : আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ২১২(৪) এর দফা (আ)তে ছয় বৎসরের অধিককাল পর্যন্ত পরিসম্পদ উক্ত ষষ্ঠ বৎসরের বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। বাস্তব অবস্থায় ষষ্ঠ বৎসরের পূর্বোক্ত বছরগুলোর হিসাব অনেকাংশে সংরক্ষণ করা খুবই দুরূহ। ষষ্ঠ বৎসরের অধিককালের কোনোরূপ সীমারেখা না রেখে প্রণীত আইন বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এমসিসিআই পূর্বোক্ত আইনের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ এ বিধানটি প্রবর্তন করার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানায় এমসিসিআই।
অনুমোদিত ফান্ডগুলোর ওপর করারোপ : অর্থ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত বার্ধ্যক্য তহবিল, অনুমোদিত আনুতোষিক তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উক্ত ফান্ডের জন্য কোনরূপ কর আরোপের বিধান নেই। এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সীমারেখা আইনগতভাবে দৃষ্টিকটু। এমতাবস্থায়, ফান্ডগুলোর কর আরোপ থেকে বিরত থাকতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়।
বর্তমান বাস্তবতায় অধিকাংশক্ষেত্রে পণ্যের বিনিময়মূল্যকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করে ডাটাবেজ মূল্য বা রেকর্ড মূল্যকে শুল্কায়নের মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এমতাবস্থায়, আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক বাজারের হালনাগাদ তথ্যের ডাটাবেজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অটোমেশন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করতে এনবিআরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংগঠনটি।
এমসিসিআই আরও জানায়, বর্তমানে দেশের ৪০ লাখ জনশক্তি, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৬০ বৎসর এবং যারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্ত নয়। এই বৃহৎ জনশক্তিকে শ্রমবাজারে নিয়ে আসা খুবই জরুরি। এই বৃহৎ জনশক্তিকে যদি দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তবে আমাদের জিডিপির ওপর অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় শিল্পের বিকাশ খুবই জরুরি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে, অন্যদিকে কর্মস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়কর হার, মূসক ব্যবস্থাপনা, শিল্প যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ককহার, সম্পূরক শুল্কহার যথাযথভাবে বিবেচনা করে স্থানীয় শিল্প সম্প্রসারণে এনবিআর চেয়ারম্যান দৃষ্টি দেবেন বলে এমসিসিআই বিশ্বাস করে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় আয়কর হার, ভ্যাট হার, সম্পূরক কর, শুল্কহার সহ কাস্টমস ডিউটিগুলো পুনর্বিন্যাস করা আবশ্যক। তাছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের নিরিখে সম্পূর্ণ অটোমেশন ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুবই জরুরি। এমতাবস্থায় বর্তমান বাজেট প্রস্তাবনা থেকে এর রূপরেখা বা পরিকল্পনা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এমসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, দ্য কেপিট্যালাইজেশন রুল বিবেচনায় মূলধন ও ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত নির্ধারণ করার বিধান প্রবর্তন জরুরি। ২০২৬ সালে উন্নত আয়ের দেশে উন্নীত হলে অনেকাংশে রাজস্ব কমে যেতে পারে। সেজন্য পরিপূর্ণভাবে অটোমেশন ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিকল্পনাসহ একটা কর নীতি আবশ্যক।
এমসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল আরও প্রস্তাব করেন, উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত আইনের ধারাগুলোর কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিনিধিদল সর্বশেষ ভ্যাট আইনের ক্ষেত্রে ই-ইনভয়েস, কেন্দ্রীয় ইউনিট, উপকরণ-উৎপাদ সহগ, রেয়াত ব্যবস্থা সহজীকরণের ধারাগুলো সহজীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন।
এমসিসিআই সার্বিক বাজেট প্রস্তাবনায় আয়কর অধ্যাদেশ বিষয়ে ৪৭টি, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শূল্ক আইন বিষয়ে ৪৮টি এবং কাস্টমস আইন বিষয়ে ১২টি প্রস্তাব পেশ করে। ফলপ্রসূ আলোচনার পর এনবিআরের চেয়ারম্যান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।