বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থা চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি; যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়।
এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।
রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে, তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দামের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম সমন্বয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে এ দেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা কাউন্টার-ট্রেড প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন।
স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে, যাতে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে।
এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে।
এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।