ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বেশি এলো প্রবাসী আয়
অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বিদায়ী এপ্রিল মাসের ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে পাঁচ হাজার ৯৫৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরপরেই রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সেই প্রতিবেদন বলছে, গত এপ্রিল মাসে ৬০টি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৪৭৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৪ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯৫৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরপরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক হাজার ৬৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এক হাজার কোটি ৩৩৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক হাজার ২২৬ কোটি ছয় লাখ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের এক কোটি ২১১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৯৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন হাজার ৯৮২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আগের বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জুনে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।