২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ বৃহস্পতিবার
আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় বাজেট উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এবারের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে কাল বুধবার (৫ জুন)। এটি সরকারের টানা ১৬তম এবং দেশের ৫৩তম বাজেট পেশ। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এবারের বাজেট অধিবেশন চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। এদিন বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। আগামী ২৬ থেকে ৩০ জুলাই এই বাজেট পাস হতে পারে। এর আগে ১০ জুন সোমবার চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন। অধিবেশনে আগামী ৬ জুন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি হবে বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা ১৬তম বাজেট। দেশের ৫৩তম বাজেট।
গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার কার্যালয়ে বাজেটের সর্বশেষ প্রস্তুতি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরদিন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান।
আসন্ন বাজেট পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানিপণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবারের বাজেটের অগ্রাধিকারে থাকবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাচ্ছে জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আরও বলেছেন, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাত থেকে এবারে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাজেট ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাজেট ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা করছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনটিই জানিয়েছে। যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।