বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ঋণে ঝুঁকবে সরকার
আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যাংক ঋণের দিকে ঝুঁকবে সরকার। বাজেট ঘটতির প্রায় ৫৪ শতাংশ ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে পূরণ করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হবে। পরে ওই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে সংসদে পাস হয়ে ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। এবারে নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ধরা হচ্ছে- সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার।
জানা যায়, আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এই বাজেটে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এটি বাড়িয়ে এক ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা করা হয়।