ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা আরও বাড়ল
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর পাচারকারীরা দেশ থেকে বিপুল অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন বা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রক্ষিতে অর্থ পাচার বন্ধসহ টাকার নিরাপত্তার স্বার্থে গত ৮ আগস্ট ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিন ব্যাংকের গ্রাহক এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে পারেননি। পরে গত ১১ আগস্ট থেকে এই টাকা তোলার সীমা বাড়িয়ে দুই লাখের পর্যন্ত করা হয়েছিল। এরপর টাকা তোলার সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে তিন লাখের পর্যন্ত করা হয়েছিল।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে অর্থ উত্তোলন সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে ব্যাংকের গ্রাহকরা এক হিসাব থেকে নগদ চার লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়মে টাকা তোলা যাবে। গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, নিরাপত্তার কারণে শাখায় টাকা স্থানান্তর করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য এখন থেকে এক হিসাব থেকে চার লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। তবে একজন গ্রাহক যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বহুগুণে বাড়ে। এতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল বেশি। এসব অর্থ যাতে অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা দিয়ে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে গত সপ্তাহে তিন লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে না পারলেও আজ থেকে সেই সীমা বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নগদ চার লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না।