বিজিএমইএ-বিইউএফটি’র পর্ষদ ভেঙে দেওয়াসহ ৭ দাবি সদস্যদের
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ সদস্যরা। সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় প্রভাবমুক্ত ২০ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তী রিচালনা পর্ষদ গঠনেরও দাবি জানান তারা।
গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যদের পক্ষে সংগঠনটির সদস্য মাইশা ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, অনন্ত গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান বাবলুসহ পোশাক কারখানার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেশ করা দাবিগুলো হচ্ছে– সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় প্রভাবমুক্ত ২০ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তী পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদ গঠন; অন্তর্বর্তী পরিচালনা পর্ষদ স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; বিজিএমইএ’র অতীতের সব দুর্নীতির স্বচ্ছ ও সঠিক তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন; শেখ হাসিনার দোসর বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ বর্তমান পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন; বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) নিহত মো. সেলিম তালুকদারসহ নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) চত্বরকে শহিদ সেলিম চত্বর ঘোষণা।
মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন হচ্ছে বিজিএমইএ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে এই পোশাক শিল্প থেকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে এ সেক্টরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গত ৯ মার্চ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ক্ষমতায় আসে। যা সাধারণ সদস্যদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।