অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১০৮৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ পেয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসিতে মোট অংশ নেয় ১৩৬২ জন। এরমধ্যে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে একজন। এবার পাশের হার ৯৯.৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩৬১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করেছে ১০৩০ জন। তার মধ্যে ১ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০২৯ জন। কৃতকার্য হয়েছে ১০২৯ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ পেয়েছে ৯২৮ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় মোট ২৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ২৪২ জন কৃতকার্য হয়। আর ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এই শাখায় পাসের হার ৯৯.৫৮ শতাংশ। জিপিএ পেয়েছে ১২৮ জন। মানবিক শাখায় ৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ৯০ জনই কৃতকার্য হয়। পাসের হার শতভাগ। তার মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ২৭ জন।
২০২১ সালেও এসএসসিতে ৯৩৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক অর্জন এসএসসিসহ সকল পর্যায়ে। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। করোনা-উত্তর এসএসসির আনন্দঘন সাফল্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সকলেই উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপ্লুত।
ফলাফল প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, বিগত একাধিক বছর করোনার ভয়ংকর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের পার হতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকির মধ্যেও আমরা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার ধারাকে অব্যাহত রেখেছি। কিছুতেই পরীক্ষার্থীদের ঝিমিয়ে পড়তে দেইনি। তারই ফলশ্রুতি আজকের এই অর্জন। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া।
গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টা ও অভিভাবকদের নিয়মিত তদারকির ফলেই ছেলে-মেয়েরা এসএসসি পরীক্ষায় আশাব্যাঞ্জক ফল অর্জন করেছে।
এসএসসি ও এইচএসসিতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বারবার গৌরবোজ্জ্বল ফল অর্জন করে। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম হয়েছে, ২০১২ সালে হয়েছে দ্বিতীয়। ২০০৭ সালে শতকরা পাসের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে এ প্রতিষ্ঠান প্রথম হয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়া নিয়েই এ প্রতিষ্ঠান সীমাবদ্ধ নয়, একটা বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও রয়েছে।