ইবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাইকিং
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শেখপাড়া ও শান্তিডাঙ্গা এলাকায় মাইকিং করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা লিখিত আদেশ দিয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে আজ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র বহন করতে হবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ইবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শৈলকূপা থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ঝন্টু ওরফে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ইবির প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে ও বহিরাগতদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট বা মাদকাসক্তদের আড্ডাখানায় যাতে পরিণত না হয় সে জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, ইবির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সেই কমিটির সদস্যরা আজ দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন। দুপুর আড়াইটায় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গতকাল সোমবার স্থানীয় বখাটেরা ইবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।