গার্হস্থ্য অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা
পরীক্ষার দুদিন আগে স্থগিত ঘোষণা করায় বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা কলেজের মধ্যে গিয়ে আন্দোলন করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য রুটিন দেওয়া হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষার দুদিন আগে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে কলেজগুলোর প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী।
আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা ‘১৯ সালের পরীক্ষা একুশে ধোঁয়াশা’, ‘ঘোষিত পরীক্ষা বাতিল হতে দিব না’, ‘পরীক্ষা চাই, পরীক্ষা চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
কলেজের শিক্ষার্থী তাসনুভা আতিক বলেন, ‘২০১৯ সালে আমাদের যে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেই পরীক্ষা এখন পর্যন্ত হয়নি। আমাদের সহপাঠীরা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না। দুই বছর ধরে অসহায় হয়ে আছি।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, সাত কলেজের পরীক্ষা চললে তাদের দোষ কোথায়? আন্দোলনরত এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে চান।
কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাত রুমিনা বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চলমান পরীক্ষাগুলো গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আমাদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আজকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী, এই পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ আমাদের নিকট নেই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তিনি ডিন মহোদয়ের মাধ্যমে আমাকে লিখিত পাঠাবেন। আমরা এরপর বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযোগগুলো লিখিত আকারে দিতে বলেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছে না। কথা না বলেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা আসুক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চারটি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ রয়েছে। কলেজ চারটি হলো- গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স ও ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। এ চারটি কলেজে দেড় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।