গৃহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবাদে সাবেক ভিসির সংবাদ সম্মেলন
গৃহকর্মীর যৌন হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও যড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) এবং বর্তমান বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. শাহজাহান।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের শ্রেণিকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ড. মো. শাহজাহান বলেন, সব সময় তিনি অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে থেকে প্রতিবাদ করেছেন। সাবেক একজন উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালনকালে ওই সাবেক উপচার্যের সুবিধাভোগী একটি চক্র তাঁর বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে দিয়ে যৌন হয়রানির মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তার সুনাম ও মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
ড. মো. শাহজাহান এর প্রতিবাদ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মো. শাহজাহানের স্ত্রী ও পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. মোসা. হালিমা খাতুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার লিখিত অভিযোগে গৃহকর্মী বলেন, ‘চলতি দায়িত্বে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার গোবরা নিজ বাড়িতে করোনার প্রথম দিকে চার মাস সাবেক ভিসি শাহজাহার স্যারের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছি। স্যারের স্ত্রী যখন বাসায় না থাকত অথবা বাইরে যেত তখন স্যার বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে শারীরিকভাবে আমার ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করতেন। খারাপ উদ্দেশ্য প্রকাশসহ আমাকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েছেন একাধিকবার। নানা কৌশলে স্যারের খারাপ উদ্দেশ্য থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি। বাসা খালি থাকায় একদিন তিনি জোর করে আমাকে বিছানায় ফেলে দেন, জড়িয়ে ধরেন, চুমু খান এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যাই এবং এর প্রতিবাদ করে বলি, আপনি আমার বাবার বয়সী; এসব কী করলেন? পরে তিনি আমাকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখান।
প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে ওই গৃহকর্মী দাবি করেন। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দিনভর চেষ্টা করার পরও অভিযোগ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই দিন (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই গৃহকর্মী সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ তুলে ধরেন।