চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, হল তল্লাশিতে মিলল বিপুল অস্ত্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পুলিশি অভিযানে আবাসিক হল থেকে মিলেছে বিপুল অস্ত্র। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে এ অভিযান চলে।
অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে তথ্য নিশ্চিত করেন। এরপর থেকে থমথমে ক্যাম্পাস।
প্রক্টর ড. শহীদুল জানান, পুলিশ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলে অভিযান চালায়। হল দুটি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যেরা। এ ছাড়া পেট্রোল বোমা, ককটেলসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রুপককে শাটল ট্রেনভিত্তিক সংগঠন সিএফসি গ্রুপের সদস্যেরা মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের অপর অংশ বিজয় গ্রুপের কর্মীরা জড়ো হয়ে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া করে।
এভাবে দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফের বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের দুপক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনায় আহত দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলে অভিযান চলে। অভিযানে হল দুটি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রক্টর ড. শহীদুল আরও জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলেও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেদিন শাটল ট্রেনে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি সংঘর্ষে জড়ায়।