চাঁদাবাজি ও পেটানোর অভিযোগে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতা গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজি ও পেটানোর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে তিন ওয়ার্ড বয়কে পেটানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগনেতার নাম মো. আকতারুল করিম রুবেল (২৪)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুই-তিনজন সহযোগী পালিয়ে যান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন ও তাঁর দুই সহকর্মী আজ সকালে নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে আনন্দবাজার খাবার হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ছাত্রলীগনেতা রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা পথরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুবেল ও তাঁর সহযোগী আসামিরা মনিরকে কাঠ ও রড নিয়ে হাত, পা, মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সজোরে আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি মারতে থাকেন৷
এ সময় মনিরের সহকর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আসামিরা তাঁদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করেন এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারীরা এগিয়ে এসে আসামি আকতারুল করিম রুবেলকে আটক করতে সক্ষম হন। অপর আসামিরা পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রুবেলকে হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, এক ওয়ার্ডবয়ের করা চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নেতা আকতারুল করিম রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের ব্যাপারে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ছাত্রলীগনেতার গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’