ছাত্রলীগে পদ চাইতে এসে মার খেলেন হাদী
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের প্রার্থী ছিলেন এম এম আবদুল্লাহ আল হাদী। কিন্তু পদ পাননি তিনি। সেই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের টিএসসির ডাস ক্যাফেটেরিয়ার সামনে হামলার শিকার হন আবদুল্লাহ আল হাদী। তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, জগন্নাথ হল শাখার কর্মী পলাশ রায় ওরফে সৌরভ, ঢাকা কলেজ শাখার কর্মী মো. রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আট–নয়জন। হামলায় হাদীর মাথা ফেটে যায়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ১৩টি সেলাই দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক৷
এ ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই রাত ১টার দিকে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেন আবদুল্লাহ আল হাদী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগনেতা সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে আবদুল্লাহ আল হাদী উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, জগন্নাথ হল শাখার কর্মী পলাশ রায় ওরফে সৌরভ ও ঢাকা কলেজ শাখার কর্মী মো. রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আট–নয়জন তাঁর ওপর হামলা করেছেন৷
আবদুল্লাহ আল হাদী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের নিয়মিত একজন কর্মী। এর আগে আমার চারটি পদ আছে। আমি ছাত্রলীগ করি। এজন্য কয়েক বছর আগে শিবিরের কর্মীরা অস্ত্র দিয়ে আমার শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করে। সেই জায়গা থেকে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় জয় ভাইয়ের কাছে আসি। কিন্তু তাঁর অনুসারীরা আমার ওপর হামলা করেন।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম এম আবদুল্লাহ আল হাদী আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন দাবি করায় তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে৷ তাঁর ভাষ্য, ‘আমি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন চাই৷ এ নিয়ে নিয়মিতই ফেসবুকে লেখালেখি করি৷ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করি৷ আমার অপরাধ এটাই৷’
মারধরের ব্যাপারে আমির হামজা বলেন, ‘আমি জয় ভাইয়ের জন্মদিনের কেক কেটে চলে আসি। টিএসসির দিকে যাইনি।’ অভিযুক্তরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। তবে কেউ এ ধরনের কিছু করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’