ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের সভাপতি এইচ এম আনিসুজ্জামানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এইচ এম আনিসুজ্জামানকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাহার আলীকে কৃষি বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষক এইচ এম আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে তোলাপাড় সৃষ্টি হয়।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে সভাপতির পদে নতুন দায়িত্বের বিষয়টি জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কৃষি বিভাগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম আনিসুজ্জামানের স্থলে বিভাগটির ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাহার আলীকে সভাপতির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোজাহার আলী বলেন, পত্রপত্রিকায় খবর আসা এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এইচ এম আনিসুজ্জামানকে সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তাকে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি এক ছাত্রীকে কৃষি বিভাগের শিক্ষক এইচ এম আনিসুজ্জামানের অনৈতিক প্রস্তাবের একটি অডিও ফাঁস হয়। এরপর গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষার নম্বরপত্রে গড়মিল করা, উত্তরপত্রে ইচ্ছে মাফিক নম্বর বসানো, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিসহ হিসাব-নিকাশে অসমতার অভিযোগ এনে আনিসুজ্জামানের অব্যাহতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তারা একটি অভিযোগ দেয়।
২৪ জানুয়ারি বিকেলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল ও শোডাউন করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের দাবির মুখে শিক্ষক এইচ এম আনিসুজ্জামানকে সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যসহ ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেল।