ট্রাকচাপায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী সাবরিনা আক্তার মিতু নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুরা এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাবরিনা আক্তার মিতু সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ গ্রামের মর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিন বোনের মধ্যে সাবরিনা ছিলেন সবার বড়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুর এলাকায় আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিনা। এ সময় তিনি সড়ক অতিক্রম করে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে যাচ্ছিলেন। তখন কুমিল্লার দিক থেকে আসা একটি ইটবোঝাই ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং ট্রাকটি জব্দ করে। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
সাবরিনা আক্তারের মামা আবিদুর রহমান বলেন, ‘সাবরিনা পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। চার-পাঁচ দিন আগে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে নানার বাড়িতে আসেন। তাঁর বাবা মর্তুজা ভূঁইয়া ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। গতকাল শুক্রবার তিনি স্ত্রী-সন্তানদের সোনাইমুড়ী পৌরসভা রামপুর এলাকার শ্বশুরবাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ফিরে যান। আজ সাবরিনা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।’
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃদুল কান্তি কুরি বলেন, ‘ট্রাকচাপায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর নিহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।’
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার মিতুর অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করেছে।