ঢাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক এম নজরুল ইসলামকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মহিন উদ্দিন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা মহানগর ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ নজরুলের।
ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত উভয়ই ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে নীলক্ষেতে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম। ভিসি চত্বরে আসার পর সহ-সভাপতি মাহিন উদ্দিন আমাকে ডাক দেয়। পরে আমি সেখানে গেলে হঠাৎ করেই তার সঙ্গী ও জুনিয়ররা এসে আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে তার এলাকার রাকিব ভাই (ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি) সম্পর্কে জেরা করতে থাকে। তারা আমার ফোন ভেঙে ফেলে। আমার হাতে একটি আংটি ছিল, সেটি ছিনিয়ে নেয়। আমাকে মেরে মুহূর্তের মধ্যে তার সঙ্গীরা বাইকে করে পালিয়ে যায়।’
তবে, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মাহিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে নিজেরা মীমাংসা করে নিয়েছি।’
কিন্তু, ভুক্তভোগী নজরুল বলেন, “মীমাংসা হয়নি। আমাকে ‘সরি’ বলার কী আছে? আমিও সেন্ট্রাল লিডার। তার জুনিয়র সঙ্গীরা এমন আচরণ কেন করবে আমার সঙ্গে? আমি জয় ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। জয় ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাল সকালে আমরা বসব ব্যাপারটা নিয়ে।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা সত্য প্রমাণ হলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেব।’