ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি অনেকগুলো কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করার কথা জানায়। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ‘মেডিকেল ক্যাম্প’ এবং সাতটি বিভাগের পরীক্ষাকেন্দ্র এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যেসব নেতা-কর্মী উপস্থিত আছেন, তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যারা অভিভাবক রয়েছেন তারা যেন কোনোভাবেই দালালের খপ্পরে পড়ে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে আপনারা যাবেন না। আমরা অনুরোধ করব সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মাধ্যমে এবং স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন।

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো মোটামুটি অসুদপায়ের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এবারও চাইব যে, সব ধরনের ডিজিটাল জালিয়াতি বন্ধের মাধ্যমে এবং সুন্দর ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক।